রাজনীতি

ইভিএমে গাত্রদাহ বিএনপি চক্রের

ইভিএমে গাত্রদাহ বিএনপি চক্রের

সারাবিশ্বে স্বীকৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে দেশের প্রকৌশলীসহ বিশিষ্টজনদের কাছে। বিভিন্ন নির্বাচনে এর ব্যবহারে ভোটাররাও স্বস্তি পেয়েছেন। কিন্তু বিএনপি চক্র আগে থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। এখন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামক অদ্ভূত এক জোটের, যার নেপথ্যে রয়েছেন জাসদ নেতা আ স ম আব্দুর রব।

বুয়েটের প্রকৌশলীদের দ্বারা নির্মিত এ যন্ত্রটিতে কারসাজি বা হ্যাকিং করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ এতে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ থাকে না। রয়েছে সহজে ভোট গ্রহণের সুবিধা। নেই জাল ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ। সর্বোপরি ভোট গ্রহণের মাত্র ২ মিনিটেই ফলাফল প্রিন্ট করা যায়।

নির্বাচনী সহিংসতা, ব্যালট পেপার নিয়ে কারসাজি করা, কেন্দ্র দখল করে নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাবিত করা- সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের ভয়াবহ পরস্থিতি উত্তরণে ইভিএম দেশে ব্যাপক সাফল্য এনে দিয়েছে।

ইভিএম ব্যবহার করায় বহু অংশে কমেছে নির্বাচনী সহিংসতা ও প্রাণহানি। রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ করে আয়োজিত নির্বাচন ভণ্ডুল করার পথও বন্ধ হয়েছে। অর্থের অপচয় ঘটানোরও কোনো সুযোগ নেই। এসব অপতৎপরতা বন্ধেই কাজ করছে ইভিএম। কিন্তু এতেই গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপি চক্রের।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ/না ভোট প্রহসন, খালেদা জিয়ার দশ হুন্ডা, বিশ গুন্ডা, ভোট ঠাণ্ডা- এসব নীতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার যে প্রক্রিয়া চলে আসছিল, তার ভয়াবহতা টের পেয়েছিল দেশবাসী। এখন ইভিএম পদ্ধতি তার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

সেই বিএনপি কখনই চাইবে না দেশে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। কারণ, তারা জানে জনগণকে ভালো কিছু দেওয়ার মতো যোগ্যতা তাদের নেই। এই চক্রের উদ্দেশ্য, যে কোনোভাবে হোক নির্বাচন ভণ্ডুল করা, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

এখন সেই বিএনপির মদদে জন্ম নিয়েছে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামের এক অদ্ভূত জোট। একই প্ল্যাটফর্মে মেলা বসেছে ইউনিক কিছু চরিত্রেরও, যারা মূলত যাত্রাপালার সাইড ক্যারেক্টারের মতো। অথচ মূল কুশীলবরা রয়েছেন পর্দার আড়ালে।

এই সাইড ক্যারেক্টরের মধ্যে রয়েছেন- ফেসবুক পোস্টে লাইক সংখ্যাকে নিজের জনপ্রিয়তা ভেবে মেয়র পদে দাঁড়িয়ে জামানত খোয়ানো জোনায়েদ সাকি, রকেট-বিকাশ নির্ভর রাজনীতির প্রবক্তা কোটা নুরু এবং তার সাগরেদ মার্কিন এজেন্ট রেজা কিবরিয়া, ঢাবিতে লাশ ফেলে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা ভাইবার মান্না, কেন্দ্র দখলকারী আ স ম রব প্রমুখ।

রাজনৈতিক বিশ্লষেকরা বলেন, এই দ্বি-চারিত্রিক নেতারা কোনোকালেই দেশের উন্নয়নে অবদান রাখেনি। রাখার চেষ্টাও করেনি। তারা নানা সুযোগ-সুবিধা নিতে সময়ের অপেক্ষা করেছে মাত্র। এখন দেশে যখন জাতীয় নির্বাচন আসছে। এই সুবিধাভোগীরাও সজাগ হচ্ছে। তারা দেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।

তারা আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন কাজে পাওয়া না গেলেও সমালোচনায় তারা এগিয়ে থাকে। এজন্য তারা বেছে নেয় বিভিন্ন মাধ্যম। যেমন টকশো, তৃতীয় মাত্রা, সমসাময়িক কথাসহ সামাজিক যোগাযোগের নানা মাধ্যম। দেশ রক্ষায় জনগণকে এসব সুযোগ সন্ধানী নেতা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

এদিকে দেশের জনগণও মনে করেন, যারা এ ধরনের রাজনৈতিক দর্শন এবং মনোভাব পোষণ করে, তারা কখনো রাষ্ট্রের কল্যাণ চায় না। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই কুশীলবরা যেন কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

Related Articles

Back to top button