দেশজুড়ে

খুলনা জেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা মিজানের জামিন নামঞ্জুর

খুলনা জেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা মিজানের জামিন নামঞ্জুর

আত্মসাৎ করা ৩৭ লাখ টাকা ফেরত না দেওয়ায় খুলনা জেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত প্রধান সহকারী মিজানুর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার দুপুরে মিজানুর রহমানের আইনজীবী মহানগর বিশেষ জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন বিচারক মাহমুদা খাতুন।

এর আগে, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত শুরু হলে মিজান দুই কিস্তিতে জেলা পরিষদের কোষাগারে ১৩ লাখ টাকা ফেরত দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান বলেন, আত্মসাৎ করা টাকা পরিশোধের জন্য সময় চেয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন মিজান।
কিন্তু এক বছরেও ঐ টাকা পরিশোধ করেননি। গত সপ্তাহে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে তা না-মঞ্জুর হয়।
এরপর খুলনায় মহানগর বিশেষ জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত না দেওয়ায় বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করেন।

জানা গেছে, ২০১২-১৩ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দরপত্র শিডিউল বিক্রি, খেয়াঘাটে ইজারা আদায় ও অননুমোদিত ভ্রমণ ভাতা বাবদ প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন মিজানুর রহমান।
এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হলে তিনি জেলা পরিষদের কোষাগারে ১৩ লাখ টাকা ফেরত দেন। ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মিজানকে গ্রেফতার করে দুদক।

এর আগে, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ মামলা করেন।

এদিকে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ থেকে মিজানকে বরখাস্ত করা হয়

Related Articles

Back to top button