ফেসবুকে প্রেম-বিয়ে সেই শিক্ষিকার, শেষ হলো মৃত্যুতে
ফেসবুকে প্রেম-বিয়ে সেই শিক্ষিকার, শেষ হলো মৃত্যুতে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন মামুন হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় শিক্ষিকিা খায়রুন নাহারের। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা।
গত ৩১ জুলাই কলেজছাত্র এবং ওই শিক্ষিকার বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই সময় খায়রুন নাহার বলেছিলেন, মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে। আমাকে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। বিয়ের পর মামুনের পরিবার মেনে নিয়েছে। কিন্তু ছয় মাসেই সেই সুখের সংসার সমাপ্ত করলেন সেই শিক্ষিকা।
রোববার সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তিনি উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। তার রাজশাহীর বাঘায় প্রথম বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহে সংসার বেশি দিন টেকেনি তার। তবে ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের পরিচয় হয় মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা।
ফেসবুকে বিয়ের বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর খাইরুন নাহার বলেন, প্রথম সংসার ভেঙে যাওয়ার পর মানসিকভাবে অনেক হতাশ ছিলাম। এ সময় আত্মহত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেই।
তিনি আরো বলেন, মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে। আমাকে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পরে আমরা দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। তবে বিয়ের পর মামুনের পরিবার মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমার পরিবার এখনও মেনে নেয়নি।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা বলেন, কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিয়ে করেন শিক্ষিকা খাইরুন নাহার। রোববার সকালে ভাড়া বাসা থেকে ওই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করা হয়।