
সপরিবারে ২০০৮ সালে লন্ডন যাওয়ার পর অদ্যাবদি সেখানেই অবস্থান করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
যে পাসপোর্ট নিয়ে তিনি লন্ডন গিয়েছিলেন, তার মেয়াদ ২০১৩ সালেই ফুরিয়ে গেছে।
ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে হলে, তার মূল দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়।
তারেক রহমান তাহলে পাসপোর্ট সারেন্ডার করে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।
তাই বর্তমানে যেহেতু তারেক রহমানের কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নেই, তার মানে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন।
তাই এই প্রশ্নই সামনে আসছে, তারেক রহমানের এখন আইডেনটিটি কি?
তারেক জিয়ার কোম্পানি প্রোফাইলের তথ্যানুযায়ী, যেটির মাধ্যমে তারেক দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সেই কোম্পানির প্রোফাইলের নাগরিকত্বের জায়গায় স্পষ্ট করে লেখা আছে ‘BRITISH’ তারেক রহমানের কাছে তো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার একটিই দলিল ছিল।
সেটি হচ্ছে পাসপোর্ট। আর তিনি এটি যুক্তরাজ্যে জমা করেছেন।
তবে এ ব্যাপারটা বিএনপি এতদিন গোপন করতে চেয়েছিল, কারণ তারা সত্য স্বীকার করতে চায় না।
তারেক রহমানের মতো একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কত টাকা বিনিয়োগ করে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেয়েছেন- সেই প্রশ্নই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় জেলে যাওয়ার পর থেকে বিএনপির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন তারেক।
এই সুযোগ পেয়ে দল চালানোর পরিবর্তে কমিটি বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্য করেই ব্যস্ত সময় পার করছেন দুর্নীতির এই রাজপুত্র।
দলীয় নেতা-কর্মীরা ভাবেন, তারেক হয়তো দেশে ফিরে নেতা-কর্মীদের পাশে নিয়ে দল পরিচালনা করবেন।
কিন্তু নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে তারেক কখনোই আর দেশে ফিরবেন না। কারণ তারেকের মা খালেদা জিয়া ও দল বিএনপির প্রতি তার ভালোবাসার লেশমাত্র নেই।
এমনটাই মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।