রাজনীতি

বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব নতুন নয়

বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব নতুন নয়

ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কতই না কূটকৌশল করেছিল বিএনপি ও তার চারদলীয় জোট। ২০০৬ সালে ভুয়া ভোটার তালিকার রেকর্ড করেছিল দলটি। ক্ষমতার লোভে নিজদলীয় রাষ্ট্রপতিকে একাধারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বানিয়েছিল।

এছাড়া সেই সময়ে জ্বালানি উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে নির্বাচনী গোপন ছক কষতে গিয়ে সব ফাঁস হয়েছিল, যা সে সময় ‘উত্তরা কাণ্ড’ নামে পরিচিত ছিল। এসব কর্মকাণ্ড প্রকাশ হতেই বিএনপির জনপ্রিয়তা নিঃশেষ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, রাজনীতি ও দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কোনো আদর্শবান নেতা দেশকে ভয়ংকর অন্ধকারে ঠেলে দিতে পারেন না। বিএনপি-জামায়াত জোট তাই করেছিল। স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনে যাওয়ার সাহস তারা অনেক আগেই হারিয়েছিল। সেই সময় থেকেই তারা রাজনৈতিক কূটকৌশল শুরু করে।

২০০৭ সালে বিশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বেশি দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল বিএনপি। অল্প কয়েকদিনেই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির ইমেজ নামতে নামতে তলানিতে ঠেকে। নেতা-নেত্রীদের সে সময়কার মাঠকাঁপানো বক্তৃতা তখন চরম মিথ্যাচার বলে মানুষের কাছে প্রতীয়মান হয়।

বিএনপির সময় দুর্নীতিতে কয়েকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। দলের শীর্ষ নেতাদের দীর্ঘদিনের লুটপাটের ফলে এই কলঙ্ক দেশের গায়ে লাগে। দুর্নীতির দায়ে বিএনপির নেতারা সে সময় একে একে কারান্তরীণ হন। দুদিন আগেও ধরাকে সরা জ্ঞান করতে অভ্যস্ত খালেদা জিয়াকে সে সময় একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রায় ‘অনুচর সহচর’ শূন্য অবস্থায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে দেখা যায়।

এ সময় স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্তি পেয়ে বসে খালেদা জিয়ার মধ্যে। পরিবারতন্ত্রের ছককে ভুলতে পারলেন না তিনি। ত্রিশঙ্কু অবস্থায় দাঁড়িয়ে একে একে ভুল করতে থাকলেন। ছোট ভাই সাঈদ এস্কান্দারকে বানিয়ে দিলেন দলের সহ-সভাপতি।

খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার আগ মুহূর্তে মান্নান ভূঁইয়াসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে বহিষ্কার করলেন। মূলত নিজহাতেই দলকে বিভক্ত করলেন তিনি। সেই থেকেই বিএনপিতে বিভক্তি শুরু। এরপর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি দলটি।

Related Articles

Back to top button