রাজনীতি

বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বিএনপির ২৩৭ নেতা

বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বিএনপির ২৩৭ নেতা

বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা। এক প্রতিবেদনে এমন ২৩৭ জন বিএনপি নেতার নাম উঠে এসেছে।

গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক (জিআইএন) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যসহ বিএনপির নেতারা কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন দেশের বাইরে।
জিআইএন সূত্র মতে, অন্তত ১২টি দেশে জিয়া পরিবারের সম্পদ আছে, যার মূল্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো।

সৌদি আরবের জনৈক আহমদ আল-আসাদের নামে ‘আল আরাবা’ শপিং মলটি রয়েছে। কিন্তু এ শপিং মলের মালিকানার দলিলে দেখা যায় খালেদা জিয়ার নাম। কাতারে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন ‘ইকরা’র কাগজে-কলমে মালিক একজন বাংলাদেশি। কিন্তু নথিতে দেখা যায়, এ সম্পদের পুরো মালিকানা আরেক দলিলের মাধ্যমে কোকোর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

খালেদা জিয়ার ভাতিজা শাহিন আহমেদ তুহিনের নামে কানাডায় তিনটি বাড়ি পাওয়া গেছে। অটোয়ার ঐ বাড়িগুলো তুহিন ২০০৪ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে কিনেছেন। শামীম ইস্কান্দারের নামে মরিশাসের ‘বিচ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’ কেনা হয়েছে।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফের রয়েছে সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে-তে বিলাসবহুল হোটেলের শেয়ার। এছাড়া তার সিঙ্গাপুরে দুটি এবং মালয়েশিয়ায় তিনটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের নামে লন্ডনে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। লন্ডনে বাড়ি আছে প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদেরও। এসব বাড়ি ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে কেনা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রীর নামে দুবাইতে রয়েছে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। সিঙ্গাপুরে মির্জা আব্বাস তার সন্তানের নামে কিনেছেন দুটি অ্যাপার্টমেন্ট। মালয়েশিয়ায় মির্জা আব্বাসের স্ত্রীর নামে রয়েছে ‘সিটি সেন্টার-২’ এ তিনটি ২৫০০ বর্গফুটের বাণিজ্যিক স্পেস।

বিএনপির আরেক নেতা নজরুল ইসলাম খানের রয়েছে সিঙ্গাপুরে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। এসব স্বনামে সম্পত্তির পাশাপাশি বিদেশে বিএনপি নেতাদের বিপুল সম্পদ বেনামে রয়েছে বলেও জিআইএন এর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button