
তার দলে থাকা না থাকার সাথে পারফরম্যান্সের সংযোগ সামান্যই। দুর্দান্ত সব বোলিং ফিগারের পরও দেখা গেছে ঠিক তার পরের ম্যাচটিতেই তিনি বাদ পড়েছেন। কারণ- টিম কম্বিনেশন! এমনিতেই টেস্ট খেলোয়াড়ের তকমা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ পাননি। সেখানে উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে পেসার শরিফুলের বদলে যখন তিনি জায়গা পেলেন কথাও কম হয়নি। ওয়ানডে পরিকল্পনায় না থাকা তাইজুল কেনো দলে? পাঁচ উইকেট নিয়ে তাইজুল যেন জানান দিলেন কেনো তিনি নিয়মিত দলে থাকেন না সে প্রশ্নই তোলা উচিত।
এটি নাহয় রঙিন পোশাকের খেলা। সাদা পোশাকেও দলে তার থাকা না থাকা পারফরম্যান্স ছাপিয়ে অনেক যদি, কিন্তুর ওপর নির্ভর করে। যেমন ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এক ম্যাচ খেলেই দলের সেরা বোলার। কিন্তু এবার উইন্ডিজে গিয়ে কোনো টেস্টেই সুযোগ পেলেন না!
শনিবার গায়ানায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে পাঠান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই বল তুলে তাইজুলের হাতে। প্রথম বলেই প্রতিদান দিলেন। ক্যারিবীয় ওপেনার ব্রেন্ডন কিংকে সরাসরি বোল্ড করেন। সে ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়েছেন। এতটুকুতেই যদি বলেন, বাহ্। তাহলে পুরো বোলিং ফিগার দেখে কী বলবেন? ম্যাচটিকে টেস্ট বানিয়ে ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করলেন তাইজুল। বলাই বাহুল্য, দুটি মেডেন ওভারও পেয়েছেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটের দেখা পেলেন তাইজুল।
এর মধ্যে, নিজের দ্বিতীয় ওভারে তুলে নেন অপর ওপেনার শাই হোপের উইকেট। ওভারের পঞ্চম বলে ২ রান করা হোপকে কটবিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন। ম্যাচের ৩৬-তম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন রোভম্যান পাওয়েলকে। পরের ওভারে এসে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করান কেমু পলকে। ম্যাচের ৪৩-তম ও নিজের শেষ ওভারে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো নিকোলাস পুরানের উইকেট ভাঙেন। ওভার শেষে মাঠে বসে পড়ে সিজদাহ দিলেন। তাইজুল শোকরানা আদায় করেছেন। ভক্তদের হৃদয়ও হয়তো স্পর্শ করেছেন; কিন্তু দিনের পর দিন নানা হিসাবনিকাশের ফেরে তাকে বসিয়ে রাখা টিম ম্যানেজমেন্টের স্মৃতিতে এই দৃশ্য কতদিন থাকবে সেটি বলা মুশকিল। অতীত হিসাব তো বলে, পরের সিরিজেই আবারও সেই যদি, কিন্তুর হিসাবেই পড়তে হবে তাইজুলকে।