
হাঁচি মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। শ্বাসের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে হাজার হাজার ভাইরাস ও ভ্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে ঢুকতে চায়। এরা নাক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। এদের অনেকেই নাসারন্ধ্রের মিউকাস গ্রন্থি থেকে বের হওয়া বিষাক্ত রসের আঘাতে মারা যায়।
হাঁচি নুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের দেহ থেকে বিভিন্ন জীবাণু বের হয়ে যায়। সব ধরনের একটি বা দুটি হাঁচিই আমাদের দেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার একটি ক্রিয়া।
হাঁচি এলে আলহামদুলিল্লাহ পড়া সুন্নত। আবার কেউ হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ পড়লে, তার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলাও সুন্নত। হাঁচিদাতার আলহামদুলিল্লাহর জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা মুসলিমের হক ও ওয়াজিব। বিভিন্ন হাদিসে এভাবে অভিহিত করা হয়েছে।
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে দুজন লোক হাঁচি দিল। তিনি তাদের একজনের হাঁচির জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বললেন; কিন্তু অন্যজনের জবাব দিলেন না। তিনি যার হাঁচির জবাব দেননি সে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আপনি তার হাঁচির জবাব দিলেন, কিন্তু আমার হাঁচির জবাব দেননি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সে তো (আলহামদুলিল্লাহ বলে) আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছে; কিন্তু তুমি তো আলহামদুলিল্লাহ বলোনি। (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৪২)
সুতরাং হাঁচিদাতা নিজে প্রথমে আলহামদুলিল্লাহ পড়বেন।
সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রা.) সূত্রে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে বসে হাঁচি দিলে তিনি ইয়ারহামুকাল্লাহ বললেন। লোকটি আবার হাঁচি দিলে রাসুল (সা.) বললেন, লোকটির ঠাণ্ডা লেগেছে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৩৭)
তাই ঘন ঘন হাঁচি এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।